ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ , ৮ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

​তিনদিনের রিমান্ড শুনে ইনু বললেন, ‘যেই লাউ-সেই কদু’

স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় : ১৭-০২-২০২৫ ০৪:৪১:২১ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ১৭-০২-২০২৫ ০৪:৪১:২১ অপরাহ্ন
​তিনদিনের রিমান্ড শুনে ইনু বললেন, ‘যেই লাউ-সেই কদু’ ​ছবি: সংগৃহীত
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিতে আনোয়ার হোসেন পাটোয়ারী হত্যায় মিরপুর মডেল থানার মামলায় সাবেক মন্ত্রী ও জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননকে ফের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিএম ফারহান ইশতিয়াক এ আদেশ দেন।

এদিন সকাল ১০টার দিকে পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় প্রভাবশালী এ দুই শরিক দলের নেতাকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় তাদের আদালতে এনে কাঠগড়ায় রাখা হয়।  

এরপর মিরপুর মডেল থানার আনোয়ার হোসেন পাটোয়ারী হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক নাসির উদ্দিন সরকার তাদের ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ড আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন।

এ সময় ইনুর পক্ষে আইনজীবী রিমান্ড বাতিলসহ জামিন আবেদন করেন। শুনানিতে তিনি বলেন, আন্দোলনের সময় আসামি ইনু এমপি ছিলেন না। আন্দোলনের সময় তিনি কোনো হত্যার নির্দেশ দেননি। বরং তিনি যৌক্তিক আন্দোলনের পক্ষে ছিলেন। আসামি ইনু পাকিস্তান পিরিয়ডে নামকরা ফুটবলার ছিলেন। তিনি গোলরক্ষক ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি খেলা ছেড়ে বঙ্গবন্ধুর ডাকে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তিনি একজন খ্যাতিমান বর্ষীয়ান রাজনীতিবীদ। তার বয়স হয়েছে। তাকে জামিন দেন। শুনানি শেষে বিচারক তাদের তাদের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রিমান্ডের আদেশ শুনে হাসেন ইনু। এরপর তাদের হাতে হাতকড়া, বুকে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ও মাথায় হেলমেট পরিয়ে হাজতখানায় নেওয়া হয়। হাজতখানায় নেওয়ার পথে সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুকে একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, আপনি নাকি আন্দোলনের পক্ষে ছিলেন, কি বলবেন? জবাবে তিনি বলেন, কি আর বলবো, যেই লাউ সেই কদু। পরে আবার প্রশ্ন করা হয় আপনি কোনো পক্ষে? উত্তরে তিনি মুচকি হেসে বলেন, আমি লাউ, কদু দুটোরই বিপক্ষে।  

এরপর তার পাশে আইনজীবী, পুলিশ ও সাংবাদিকের মাঝে হাসির রোল পড়ে যায়। হাঁটতে থাকেন ইনু ও মেননও। এ সময় মেননের কোনো বক্তব্য আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি আর কি বলব। 

মামলা সূত্রে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ৫ আগস্ট মিরপুর গোলচত্বর এলাকায় গুলিতে নিহত হন আনোয়ার হোসেন পাটোয়ারী। এ ঘটনায় তার বাবা আল আমিন পাটোয়ারী মিরপুর মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন।
 
বাংলাস্কুপ/প্রতিবেদক/এনআইএন/এসকে


প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স


এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ